শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

আজ ২৫ শে ফেব্রুয়ারি মুসলমানদের অন্যতম জনপ্রিয় পবিত্র দিন শবে বরাত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এ অবস্থায় একজন মুসলমান হিসেবে আপনি হয়তো আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি মহান আল্লাহতালার নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত করতে চাচ্ছেন। একজন মুসলমান হিসেবে আপনি এই মুহূর্তে এই রাত যদি সঠিকভাবে পালন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মহান আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে এবাদত বন্দগি করতে হবে এবং সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে হবে।

ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি এবং এদের আপনি একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মে নামাজ আদায় করবেন। কিন্তু এই নামাজ পড়া নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে এই দ্বিমত দূর করার উদ্দেশ্যে আপনারা হয়তো জানতে চাচ্ছেন শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি।

শবে বরাতের নির্দিষ্ট করুন নামাজ কুরআনে বা হাদিসে উল্লেখ নেই। তবে হাদিসে আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন যখন শাবান মাসের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল নামাজ আদায় করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে। ইসলামের যে পাঁচটি রুকন রয়েছে অর্থাৎ পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম ইবাদতের মধ্যে সর্বশেষ্ঠ হলো নামাজ সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে হলেও আপনি শ্রেষ্ঠ হল নফল নামাজ ইবনে মাজার শরীফের ১৩৮৪ নম্বর হাদিস।

তবে অনেক জ্ঞানী মানুষেরাই বলেছেন যে শবে বরাত পালন করা বেদাত তাদের উদ্দেশ্যেই বলতে চাই যে এখানে বিভিন্ন ধরনের রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে যে রেফারেন্সের ভিত্তিতে আপনি বুঝতে পারবেন যে শবে বরাত কেন পালন করা হয় এবং এই শবেবরাত কিভাবে পালন করতে হয় তার সঠিক নিয়ম।

সভাত হল নফল ইবাদত এবং আপনি যদি দুই রাকাত করে যত খুশি ততবার নামাজ পড়তে পারেন তাহলে আপনার রিজিক বৃদ্ধি আপনার পুণ্যের পাল্লা ভারী হতে থাকবে। মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকটা লাভ এবং সোয়াব পাওয়ার আশায় আমরা নামাজ আদায় করি যার কারণে আপনি এখানে এই নামাজের নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা পাবেন না। আপনাকে দুই রাকাত করে যত খুশি তত নামাজ করবেন যত বেশি ইবাদত করবেন তত বেশি সওয়াব পাবেন যার কারণে আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে এই নামাজ পড়ার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।

এ দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে নিয়ত করতে হবে এবং এই নিয়ত আমরা আপনাদের সাথে এখানে উপস্থাপন করেছি।

বলবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পরছি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহু আকবার। এভাবে সংকল্প করলেই আপনার নামাজ হয়ে যাবে। তবে এখানে সূরা ফাতিহা একবার আর সূরা ইখলাস তিনবার পড়তে হবে বা সূরা ওয়াকিয়া পড়তে হবে এমন কোনো কথা হাদিসে নেই। এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাই সূরা ফাতিহার পরে যে কোনো সূরা দিয়ে নামাজ পড়লেই নামাজ হয়ে যাবে (ইনশাল্লাহ!)

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করেছেন যে ১৫ই সাবান রাতে তোমরা জেগে থেকে ইবাদত করো এবং পরদিন রোজা রাখ এ হাদীস দিয়ে শবেবরাতের একটি নফল রোজা প্রমাণিত হয়। তবে আরো বেশ কিছু হাদিস রয়েছে যে সকল হাদিসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩-১৪ ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিন দিন নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সেই হিসেবে সাবান মাসেও এই তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে আবার অন্যভাবে একটি হাদিসে বর্ণিত আছে যে হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত আছে সাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম অধিক হারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা সাবান মাসে রোজা রাখেন সেই হিসেবে সাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা অবশ্যই সোয়াবের কাজ। (তিরমিযি ১/১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)।

উপরের অংশে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেটার ভিত্তিতে আপনি হয়তো সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন আমরা আপনাদের জন্য সঠিক তথ্যটি উপস্থাপন করেছি এবং আরো বলতে চাই যে শবে বরাতের নামাজ নিয়ে অনেক সংশয় রয়েছে।

Leave a comment