সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৪ – স্কুল, ব্যাংক সরকারি ছুটির তালিকা

অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা পেরিয়ে ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা। গত ২৭ অক্টোবর মন্ত্রিসভার এক মিটিং এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের সকল সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। ঐদিন বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং যেখানে উল্লেখ থাকে যে আগামী বছর সাধারন ও নির্বাহী আদেশ মিলে ২২ দিনের মতো ছুটি থাকবে। একজন সরকারি চাকরিজীবী অথবা কোন সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হিসেবে আপনি এই মুহূর্তে সরকারি ছুটির তালিকা জানা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ চাকরিরত অবস্থায় রয়েছেন। এ সকল চাকরির অবস্থানরত প্রতিটি কর্মকর্তারা অধীর আগ্রহে তাদের একটি ছুটির দিন খুলে থাকেন কেননা তাদের দীর্ঘ সময় ধরে কর্মের কারণে একটি বিরতির প্রয়োজন হয় যে বিরোধিতা তারা তাদের পরিবার প্রয়োজন নিয়ে একটু অবসর সময় কাটাতে পারে। এ অবস্থায় আপনারা যারা সরকারি ছুটির তালিকা অনলাইন থেকে খুঁজে চলেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে আমরা এখানে ২০২৪ নতুন বছরে যে সকল ছুটির দিন রয়েছে সেটির তালিকা শুধুমাত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।

২০২৪ সালের সরকারি ছুটির তালিকা

নতুন বছরের শুরুতেই একজন কর্মকর্তা হিসেবে আপনার প্রথম যে দায়িত্ব তা হল এ বছরে কোন কোন দিন আপনি সরকারি ছুটি পেতে চলেছেন। ছুটির দিনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্ল্যান থাকে এবং আমরা এই সময় গুলো আমাদের দূরের কাছের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনসহ সকলের সাথে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটাতে চাই। আপনি যদি কোন সরকারি অফিসার্স কর্মরত অবস্থায় থাকেন তাহলে আপনার জন্য ছুটির তালিকায় একটু ভিন্ন হতে পারে যা আমাদের মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হয় সেটা আপনি কোন করতে হবে। অন্যদিকে যারা ইস্কুলের বা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তারা চাইলে এই ছুটির একটু আলাদাভাবে পেতে পারেন।

যাইহোক আপনারা এই মুহূর্তে ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনলাইন থেকে যাচাই করতে চাচ্ছেন এবং এই তালিকা আমরা আপনাদের জন্য এখানে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করেছি। আমরা সোমবার মন্ত্রিসভার বইটিকে ২০২৪ সালের যে ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সে তালিকার ওপর ভিত্তি করে আমরা যে তথ্যটি পাই সেটি হচ্ছে এ বছরেও সাধারণ ছুটি ১৪ দিন ও নির্ভয় আদেশের ছুটি রয়েছে আট দিন। সাধারণ ছুটি গুলোর তালিকা নিজের অংশে দেওয়া হয়েছে এবং আপনারা এই ছুটিগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

&292-page-0001


292-page-0002
292-page-0003nbsp;

 ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সারাদেশে যথাযথ মর্যাদার মাধ্যমে আয়োজন করা হয় তবে এই দিন সরকারি অফিসগুলো ছুটি থাকলেও বিশেষ আয়োজন করা হয় যাতে করে সকলে অংশগ্রহণ করতে হয়।

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের মতন একটি বিশেষ দিনে সরকারি ছুটি থাকা স্বাভাবিক তবে এদিন পুরোপুরি ছুটি না পাওয়া গেলেও আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে জন্মদিন পালন করতে হয়।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এদিন আমাদের জাতীয় দিবস হিসেবে সরকারি ছুটি থাকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়।

৫ এপ্রিল জুমাতুল বিদা মুসলমানদের একটি ধর্মীয় উৎসব হওয়ার কারণে হিন্দু ও মুসলিম উভয়দের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।

১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এবং পবিত্র মাহে রমজানের একমাস রোজার পর এই ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয় জাঁকজমক ভাবে যার কারণে তিন দিনের বেশি ছুটি দেওয়া হয়েছে।

১ মে মহান মে দিবস, সারা বিশ্বের শ্রমিকদের ওপর দৃষ্টিপাত করে মে দিবস পালন করা হয় যা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পরিচিত।

২২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখি পূর্ণিমা), বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন উপলক্ষে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হয় যা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৭ জুন ঈদুল আজহা, মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব এবং এদিন সারা বিশ্বের মুসলমানরা একই সাথে মহান আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে পশু কুরবানীর মাধ্যমে এই দিনটি পালন করেন।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয় এবং এদিন সরকারি ছুটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

২৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, 

১৬ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা।), মুসলমানদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনটি পালন করা হয়।

১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার জন্য এই ছুটির সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ,  সারা বাংলাদেশীদের জন্য ইহা একটি বিরাট উৎসবের দিন এবং আমরা পাকিস্তানের থেকে এই দিনে মুক্তি পায় যার কারণে বিজয় দিবস হিসেবে সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন), খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এবং যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনের জন্য খুব সুন্দর ভাবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এই দিনটিকে পালন করে থাকেন।

বাংলাদেশের প্রায় সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করে এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ কর্মরত রয়েছেন। প্রতিটি ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে বাংলাদেশ সরকার ও মন্ত্রিপরিষদ সর্বদা ছুটির দিনগুলো নির্ধারণ করেছেন। এক্ষেত্রে ধর্ম ভেদে যে সকল ছুটিগুলো ধার্য করা হয়েছে তার তালিকা নিজের অংশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতন এ বছরেও নির্ভারি আদেশে বেশ কিছু দিন ছুটির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সাধারণভাবে যেকোনো ধর্মের মানুষ এবং নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে এই সকল দিনগুলো ছুটির কাজে ব্যবহার করতে পারেন। নিজের অংশে আপনাদের জন্য উক্ত ছুটির দিনগুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করা হলো।

একজন মুসলিম হিসেবে আপনি চাইলে এ সকল দিনগুলো সরকারি ছুটি হিসেবে পেতে পারেন,

২৬ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ৭ এপ্রিল শবে কদর, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১০ এবং ১২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দুই দিন, ১৬ এবং ১৮ জুন ঈদুল আজহার আগে ও পরের ২ দিন এবং ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা। ঐচ্ছিক ছুটির মুসলিম পর্বের মধ্যে রয়েছে-৯ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ, ১৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন, ১৯ জুন ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন, ৫ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ১৫ অক্টোবর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।

একজন হিন্দু ধর্মের অনুসারী হিসেবে আপনার জন্য বেশ কিছু ঐচ্ছিক ছুটির দিন ধার্য করা হয়েছে যেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে এবং আপনি একজন চাকরিজীবী হিসেবে এই সকল ছুটিগুলো ভোগ করতে পারবেন,

১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ৮ মার্চ শিবরাত্রী ব্রত, ২৫ মার্চ দোলযাত্রা, ৬ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ২ অক্টোবর মহালয়া, ১১ ও ১২ অক্টোবর দুর্গাপূজা (অষ্টমী ও নবমী), ১৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৩১ অক্টোবর শ্যামাপূজা।

আপনারা যারা খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী রয়েছেন তারা চাইলে নিজের দেওয়া যে সকল ছুটি রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন কেননা শুধুমাত্র তাদের জন্য এই সকল দিনগুলো ছুটি দেওয়া হয়েছে,

১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ২৮ মার্চ পুণ্য বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ পুণ্য শুক্রবার, ৩০ মার্চ পুণ্য শনিবার, ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।

বৌদ্ধ ধর্মের ঐচ্ছিক ছুটির তালিকায় এখানে দেওয়া হয়েছে,

২৩ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ২০ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ১৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ১৬ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৪ স্কুল

সারা বাংলাদেশের যে সকল স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোতে ছুটির তালিকা সামান্যতম পরিবর্তন করা হয়। আপনি একজন সরকারি প্রাইমারি স্কুল হাই স্কুল অথবা সরকারি কলেজের কর্মরত শিক্ষক হিসেবে আপনার জন্য এখন নির্ধারিত ছুটি তালিকায় এখানে প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং আপনারা যারা এ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন অথবা এ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন তারা নিজের অংশে যে সকল সরকারি ছুটির তালিকা দেওয়া হয়েছে সেটি বাছাই করে নিতে পারেন অথবা আপনার প্রতিষ্ঠান প্রধানের থেকে এই ছুটির তালিকাটি দেখে নিতে পারছেন।

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৪ ব্যাংক

বাংলাদেশে মোট ৫৪ টি সরকারি ব্যাংক রয়েছে এবং এ সকল ব্যাংকের প্রায় এক লাখের বেশি কর্মচারী কর্মকর্তা রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের মানুষের জন্য সার্বিক সেবা প্রদান করছেন। একজন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে আপনি অবশ্যই আপনার ব্যাংক কোন দিন চালু থাকবে এবং কোন দিন সরকারি ছুটির ধার্য করা হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইবেন। আপনাদের অবগতির জন্য বলতে চাই যে আমাদের একটি বিশেষ টিম রয়েছে তারা আপনাদের জন্য এখানে সরকারি ছুটির তালিকা শুধুমাত্র ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য সেটি এখানে উল্লেখ করেছে। একজন কর্মকর্তা হিসেবে আপনি অবশ্যই আমাদের এখান থেকে আপনার ব্যাংকের যে নির্ধারিত ছুটির দিন ধার্য করা হয়েছে সেটি অনুসরণ করবেন।

Leave a comment