বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ ২০২৪

আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যখনই এইচএসসি পাশ করে ফেলে তখনই তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউবা ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা কেউবা মেডিকেল ভর্তি হওয়ার জন্য এডমিশন প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আমাদের দেশে যে সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে সে সকল মেডিকেল কলেজে স্বল্প সংখ্যক আসন সংখ্যা থাকার কারণে সে সকল আসনের বিপরীতে বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। যার কারনে অনেকের কাছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একজন এমবিবিএস পুরো শিক্ষার্থী হওয়া যার কারণে আমরা অনেকেই রয়েছি যারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রতি আগ্রহী দেখায়।

সুতরাং যারা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান না যারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়তে চান তারা অবশ্যই সেখানে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হবে সেই তথ্যটি জানা উচিত। কারণ কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে খরচ সেটি যদি জানতে পারেন তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার জন্য অনেক সুবিধা হবে। যাই হোক আমরা আপনাদের জন্য এখানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার যে নির্ধারিত খরচ রয়েছে সেটি সম্পর্কে এখানে ধারণা দিয়েছি।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ

দেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ালেখার খরচ আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সময় একজন শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র ভোট দিতে হিসেবে এককালীন গড়ে ১৫০০০ টাকা দিতে হয়। অন্যদিকে আপনি যদি একটি বেসরকারি কলেজে গিয়ে আপনার এমবিবিএস করছে ভর্তি হতে চান তাহলে আপনাকে ২১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। এর মধ্যেই আপনাকে ভর্তি ফি 19 লাখ 44 হাজারও internship 1 লাখ 80 হাজার টাকা রয়েছে।

সেই হিসেবে এ খরচ সরকারি মেডিকেলের চেয়ে বেসরকারি মেডিকেলে খরচের পায় ১৪২ গুন বেশি। এবছর একজন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে 10000 টাকা করে টিউশন ফি জমা দিতে হয় এজন্য তার পাঁচ বছরের খরচ হয় 6 লক্ষ টাকার মত। অথচ সরকারি কলেজে এফবি বছরের ৭ হাজার টাকা করে ৫ বছরে মোট ৩৫ হাজার টাকার মতন সে হিসেবে এক্ষেত্রে একজন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী থেকে সব মিলে গড়ে পাঁচ বছরে 54 গুণ বেশি টাকা গুনতে হবে।

Screenshot-2024-04-15-at-7-56-40-AM

এবছর ইতিমধ্যে সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে যার কারণে আপনারা যারা সামনে বছর ভর্তি হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা অবশ্যই এখান থেকে সঠিক তথ্যটি জানতে পারছেন এবং আমরা মনে করছি যে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই বাড়িয়ে দেওয়া হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে গত বছরের তুলনায় এ বছরে ভর্তি ফি 17 শতাংশ বাড়ানো হয়েছে গত বছর ভর্তি ফি ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং মাসিক টিউশন ফিছিল ৮ হাজার টাকা। তার বিপরীতে এ বছরে ভর্তি ফি ৩ লাখ ২৪ হাজার বারে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা এবং মাসিক টিউশন ফি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে 10000 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সুতরাং আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য আপনাকে কি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষক মন্ডলীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলার পর আমরা এখানে আপনাদের সাথে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা আপনাদের সামনে আরো একটি তথ্য দিতে চাই যে যত দ্রুত সম্ভব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফি সহজে পাঁচ বছরের খরচ রয়েছে তা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

তবে আপনাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে দেশের যে সকল বেসরকারি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এ সকল মেডিকেল কলেজে এগুলোতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভর্তি ফি সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে নিকটস্থ মেডিকেল কলেজ যোগাযোগ করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পর আপনাকে নির্ধারিত ফ্রি দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। সুতরাং যাদের স্বপ্ন বড় হওয়ার অর্থাৎ মেডিকেল পড়ার তারা অবশ্যই স্বপ্ন পূরণের জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারেন।

Leave a comment