শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত ২০২৪ (সঠিক)

আজ রবিবার মুসলিম পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং বিশ্ব মুসলিম বাসের বিশ্বাস এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে। যার কারণে এই রজনী কে আরবিতে লাইলাতুল বরাত বা নিষ্কৃতি মুক্তির রজনী বলা হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর রজনী সম্পর্কে বলেছেন যে এই রাত্রিতে ইবাদতকারীদের গুনাহকারী আল্লাহতালা ক্ষমা করে দেন তবে কেবল আল্লাহর সঙ্গে শিরককারী সুদখোর গণক যাদুকর কৃপণ শরাবি জিনাকারী ও পিতা মাতা কি কষ্ট দানকারী আল্লাহ কখনোই মাফ করবেন না।

শবে বরাতের নামাজ এবং শবে বরাতের নিয়ম কানুন রয়েছে সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি করতে হবে। আমরা আপনাদের জন্য এখানে সঠিক নির্দেশনা দিয়েছে যেটা অনুসরণ করে একজন ব্যক্তির সরবরাহের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আপনারা অবশ্যই সঠিক নির্দেশনার ভিত্তিতে শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে পারবেন।

শবে বরাতের নামাজ এবং নিয়ম কানুন

প্রকৃত অর্থে শবেবরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই যেহেতু এই রাত্রি ইবাদত বন্দেগী করে কাটাতে হবে তাই হাদিসের সমাধান দেওয়া হয়েছে। আর সারা বিশ্বের মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন যার কারণে এটিকে তাৎপর্যপূর্ণ রাত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সন্ধ্যায় এ রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত ঈমানের হেফাজত ও অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ছয় রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। এ ছয় রাকাত নফল নামাজের নিয়ম প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। অতঃপর দুই রাকাত নামাজ শেষ করে সুরা ইয়াসিন বা সূরা ইখলাস ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।

শবে বরাতের নফল নামাজ

দুই রাকাত তাহিয়াতুল ওযুর নামাজ নিয়ম প্রতি রাকাতে আলহামদুলিল্লাহ সূরা ফাতিহা পড়ার পর একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার কুলহু আল্লাহ অর্থাৎ সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। এই নামাজের ব্যাপক ফজিলত রয়েছে যার কারণে সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই নামাজটিকে পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখান।

Screenshot-2024-02-24-at-10-45-11-AM

ফজিলত প্রতি ফোটা পানির বদলে 7 শত নেকি আপনার লেখা হবে।

দুই রাকাত নফল নামাজ, নিয়ম – 

এক নম্বর নামাজের মতো প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পড়ার পর একবার আয়াতুল কুরসি এবং 15 বার করে সূরা ইখলাস অতঃপর সালাম ফেরানোর পর 12 বার দুরুদ শরীফ পড়তে হবে।

ফজিলত : রোজিতে বরকত দুঃখ কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে গুনাহ হতে মাক্কী রাতের বকশিশ পাওয়া যাবে।

আট রাকাত নফল নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হবে নিয়মপতিরাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস পাঁচবার করে এবং একই নিয়মে বাকি সব রাকাতে নামাজ পড়তে হবে।

ফজিলত: গুনহা থেকে পাক হবে দোয়া কবুল হবে বেশি বেশি নেকি পাওয়া যাবে।

১২ রাকাত নফল নামাজ দুই রাকাত করে নিয়ম, প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০ বার সূরা এখলাছ এবং একই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে দশবার কালেমা তাওহীদ দশবার কালেমা তামজীদ ও দশবার দরুদ শরীফ পড়তে হবে।

১৪ রাকাত নফল নামাজ দুই রাকাত করে নিয়ম পতির আঁকা সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন।

ফজিলত, যেকোনো দোয়া চাইলে তা কবুল হবে।

চার রাকাত নফল নামাজ এক সালামে পড়তে হবে- নিয়ম –

পথের আঘাতে সূরা ফাতিহার পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত গোলা থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছে।

৮ রাকাত নফল নামাজ এক সালামে নিয়ম,

প্রতির আঘাতে সূরা ফাতিহার পর একবার সূরা এক্লাস শরীফ।

ফজিলত : এর ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে হযরত ফাতেমা রাঃ এরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি এই নামাজ আদায় করে তার সাফায়েত করা ব্যতীত জান্নাতে কদম রাখা যাবেনা।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

বাংলায় নিয়ত : ‘শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর’।

সতর্কতা

মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড় শবে মেরাতের নামাজ যেহেতু নকল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ করা ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে কিন্তু সবই শেষ। অর্থাৎ নফল নামাজ পড়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন আর এই দিকে ফজরের নামাজ পড়তে পারলেন না সাবধান এ যেন না হয়।

Leave a comment