সিজিপিএ বের করার নিয়ম ২০২৪ – জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি

আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য অনার্স মাস্টার্স করছে ভর্তি হন যার কারণে আমাদের দেশে যে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাশ করে বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে যোগদান করছেন। একজন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হচ্ছে সিজিপিএ। প্রতি সেমিস্টার হোক অথবা প্রতি বর্ষে আপনাকে মনে মনে কিংবা খাতা-কলাম হিসাব করতে হয় যে আপনার সিজিপিএ কত হয়েছে এবং কততে উত্তীর্ণ করলে আপনার তা আরো বেশি ভালো হবে।

নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর আমরা সাধারণভাবে জিপি এর মাধ্যমে আমাদের ফলাফল আশা করে থাকে কিন্তু আপনি যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোন কলেজের কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তখন আপনাকে সিজিপি এর মাধ্যমে ফলাফল বের করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা আপনাদের সাথে সিজিপিএ কিভাবে বের করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে।

সিজিপিএ কি?

শিক্ষার বিভিন্ন স্তর রয়েছে এবং তা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় সাধারণভাবে আমরা যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন সেখানে আমাদের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে সিজিপিএ। সিজিপিএ বের করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই এটির অর্থ কি সেটা তথ্যটি জানতে হবে।  জিপিএ(GPA) ও সিজিপিএ(CGPA) এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যে তথ্যটি অনেক শিক্ষার্থীর কাছে অজানা।  জিপিএ(GPA)- এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Grade Point Average। অন্যদিকে সিজিপিএ(CGPA)- এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Cumulative Grade Point Average।

এক কথায় বলতে গেলে আমাদের প্রতি সেমিস্টারে অথবা প্রতি বরষে প্রাপ্ত গ্রেডকে বলা হয় জিপিএ । অন্যদিকে কয়েক সেমিস্টারের গড় জিপিএকে বলা হয় সিজিপিএ । মনে করুন অনার্স প্রথম বর্ষে আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর আপনাকে ফলাফলে যে জিপিএ পাবেন সেটা পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ অনার্স সম্পূর্ণ করতে যে চারটা বছর আপনাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে তার ঘর Mark সিজিপিএ বলা হয়।

সিজিপিএ বের করার নিয়ম

আজকের আলোচনার এই অংশে আমরা আপনাদের সাথে সিজিপিএ বের করার যে সঠিক নিয়ম রয়েছে সেটি উল্লেখ করবো কেননা একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাকে অবশ্যই এ তথ্যটি জানতে হবে। প্রথমে বলে রাখি দেশের যে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে সকল কলেজগুলো রয়েছে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জিপিএ ও সিজিএপিএ বের করার নিয়ম। তবে পার্থক্য থাকে শুধুমাত্র গ্রেডিং পয়েন্টে। যাইহোক আপনারা নিচের অংশের যে নিয়ম দেওয়া হয়েছে সেই ছবির বিশ্লেষণ সঠিকভাবে অনুসরণ করুন।

উপরের চিত্রটি দেখার পর আপনি লক্ষ্য করবেন যে সেখানে গ্রেট পয়েন্ট ও লেটার গেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাধারণত 80 নম্বরের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যদি আসি নম্বর পেয়ে থাকেন তাহলে তার গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ তোলা যায় অর্থাৎ আপনি যদি লেটার গ্রেডে সেটি মেপে থাকেন তাহলে এটাকে এ প্লাস বলা যায়। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৯০ পেলে লেটার গ্রেড বা a+ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় যে গ্রেটিং সিস্টেম রয়েছে সেটি সম্পর্কে জানতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ বের করা নিয়ম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের শিক্ষা স্তরে বিরাট ভূমিকা পালন করে যার কারণে একজন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাকে এই মুহূর্তে আপনার সিজিপিএ বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। বিশেষ করে যে সকল শিক্ষার্থীরা অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং এই মুহূর্তে তাদের ফলাফলের অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য সিজিপিএ বের করা সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য কাজ। নিচের অংশে আমরা আপনাদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ বের করার একটি চিত্র প্রকাশ করেছি এবং এর চিত্রটি লক্ষ্য করলে আপনি সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।

Screenshot-2023-11-18-at-8-02-52-AM

 

উপরের চিত্রটির লক্ষ্য করলে আপনি দেখতে পাবেন যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের 80 নম্বরের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় যেখানে কোন শিক্ষার্থী যদি 40 থেকে 44 এর মধ্যে নম্বর পেয়ে থাকে তাহলে সে গ্রেড পয়েন্ট হিসেবে ২.০০ পাবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সে ৪৫ থেকে ৪৯ নম্বর পেলে তার গ্রেড পয়েন্ট ২.৫০ হয়। এভাবে ধারাবাহিকভাবেই তাদের গ্রেড পয়েন্ট নির্ণয় করতে হবে। এভাবে একজন শিক্ষার্থীর সিজিপিএ বের করা সম্ভব। পরিশেষে আমরা আপনাদের জানাতে চাই যে যারা অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন তাদের জন্য সিজিপি নম্বরটি কিভাবে বের করতে হয়।

আপনি প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত যে জিপিএ নম্বর পেয়েছেন সেগুলো যোগ করুন। যোগ করার পর আপনি অবশ্যই যে চারটা বছর রয়েছে অর্থাৎ আপনার প্রাপ্ত জিপিএকে 4 দিয়ে ভাগ করুন। আপনি যে ভাগফল পাবেন সেটাই আপনার সিজিপি অর্থাৎ আপনি চার বছর অধ্যায়ন করে এটিই অর্জন করতে পেরেছেন। এমনকি আপনার সার্টিফিকেটে এই সিজিপিএ উল্লেখ থাকবে। সুতরাং আমরা মনে করছি যে আমাদের এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে গ্রেটিং সিস্টেম রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারছেন।

Leave a comment